Shatosi Bitcoin cor coin

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি | Core Coin Updated | Shatosi Payment

বিশ্বব্যাপী নতুন এক অর্থব্যবস্থার নাম ক্রিপ্টোকারেন্সি। মূলত এটি একটি নতুন জগতকে ইশারা করে। সহজ ভাবে বলতে গেলে কাগজের টাকা থেকে যেভাবে বিকাশ নগদ ও রকেটে লেনদেন বর্তমানে সহজ মনে হচ্ছে ঠিক অদূর ভবিষ্যতে কিপ্টো কারেন্সি সকলের জন্য সুবিধা জনক হবে। এটি অর্থ ব্যবস্থার নতুন রূপ দিতে যাচ্ছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার

অনেক রকম ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। তবে জনপ্রিয় কয়েকটি দিক নিয়ে আলোচনা করছি যাতে বুঝতে সহজ হয়। বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত পা নেটওয়ার্ক বর্তমানে সাতোশীর কোর কয়েন অন্যতম। অর্থ লেনদেনের নতুন একমাত্রা নিয়ে আসছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ সকল অদৃশ্য মুদ্রার অর্জন ও এর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা হয়।

বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী

বিটকয়েন কিংবা ডিজিটাল অর্থ সম্পর্কে সহজে বলতে গেলে আগামীর বিশ্ব বিটকয়েনের বিশ্ব। শুনতে অবাক লাগলেও এটি চরম সত্য। একটা সময় বিশ্বব্যাপী কাগজের টাকার প্রচলন উঠে যাবে। এটি বর্তমানে শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবিক অর্থে সময়ের পরম্পরা ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সঠিক।

যুগের সাথে নিজেকে আপডেট করার লক্ষ্যে অদৃশ্য মুদ্রা কিংবা টেকনোলজি মানি প্রচলন শুরু হবে। এর আনুষ্ঠানিকতার নাম বিটকয়েন। একটি সময় বিটকয়েনের মাধ্যমে যাবতীয় অর্থ পরিকল্পনা চলবে। অর্থাৎ দোকান থেকে কোন কিছু কিনতে হলে বিটকয়েন দিয়ে কিনতে হবে সেটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়

যেহেতু এটি ডিজিটাল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। সেহেতু এটি প্রচার করার জন্য কিংবা জনগণকে আগ্রহী গড়ে তোলার জন্য এ সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য প্রচুর অর্থ প্রদান করে। বর্তমানে অনেকেই মোবাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা ডিজিটাল অর্থনৈতিক জগতের অনেক সফটওয়্যারে মাইনিং করে কয়েন অর্জন করছেন বিনিময়ে পাচ্ছেন শত শত ডলার।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা

এটি একটি সফল ব্যবসায়িক উদ্যোগ। অদূর ভবিষ্যতে এটির জনপ্রিয়তা আরো উচ্চে চলে যাবে। ইলন মাসকের মত প্রথম শ্রেণীর ধ্বনি ও অর্থনীতিবিদ এই সকল কাজে মনোনিবেশ করেছে। বুঝতেই পারছেন এর ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।

মূলত কাগজের টাকা ও ডলার এর বিপরীতে নতুন এক অর্থব্যবস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে এর আবির্ভাব। তাই এটিকে আধুনিকরণ করে ডিজিটাল ব্যবসায় পরিণত করতে চাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ

অতি সম্প্রতি এ সকল কাজের প্রতি বাংলাদেশের যুবকেরা প্রচুর ঝুঁকে পড়েছে। প্রতিদিন এবং প্রতিবছর হাজার হাজার টাকা আয় করছে এ সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। স্মার্ট ফোন দিয়ে বিভিন্ন ক্রিপ্ট জগতের কাজে মাইনিং করে ইনকাম করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্তমানে সাতোশি Shatosi app এ কাজ করে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আশা করা যাচ্ছে অসংখ্য বেকার যুবক লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করবেন।

বিভিন্ন দেশ এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে মাইনিং করে অর্থ উপার্জন করার আশ্বাস থাকলেও রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে কালো তালিকাভুক্ত কিংবা নিষিদ্ধ দেশগুলো বাদে অল্প কয়েকটি দেশ এর সুফল পাবে বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল

মূলত কষ্টে অর্জিত সকল অর্থই হালাল যদি শরীয়ত মোতাবেক হয়ে থাকে। কারো অধিকার হনন না হয়। কাজের মধ্যে বিনিময় থাকে। এই সকল প্রতিষ্ঠান মূলত একটি নির্দিষ্ট সময় কাজ করিয়ে নেয় দীর্ঘ সময় ধরে। তাই কাজের বিনিময়ে হালকা কিছু পেমেন্ট প্রদান করে তারা। তাই নীতির দিক থেকে অবশ্যই এটি হালাল।

বাংলাদেশের অসংখ্য ইসলামিক স্কলারসহ আন্তর্জাতিক আলেমগণ এটিকে হালাল বলেছেন। তবে ইনভেস্টমেন্ট সাইটগুলো নিয়ে প্রশ্ন আছে। অযথাই না বুঝে যে কোন জায়গা ইনভেস্ট করা ঠিক হবে না। তবে পরিশ্রম করে আয় করাতে কোন সমস্যা নেই। এ সকল অর্থ উপার্জনের পর যথাযথভাবে সম্পদের যাকাত আদায় করতে হবে।

অদৃশ্য মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনগুলো

অদৃশ্য বা গুপ্ত মুদ্রা এটি বাইনারি উপত্যের একটি সংকলন যা লেনদেনের মাধ্যমে হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এবং অচিরেই এর ব্যবহার বেড়ে যাবে। তবে এটি কোন কাগজের নোট নয় এর অস্তিত্ব শুধুমাত্র ইন্টারনেটে বিদ্যমান আছে থাকবে। এটি ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের লেনদেন করা সম্ভব তবে শুধুমাত্র অনলাইন প্লাটফর্মে।

যেমনটা দেখতে পান বিকাশ রকেট নগদে শুধুমাত্র এক মাস থেকে অপর পাশে চোখের পলকে টাকা চলে যায় সেখানে বিনিময়ে কাগজের নোট প্রদান করা হয় কিন্তু এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনলাইনে লেভেল দেখা যাবে বাস্তবে কোন প্রকার মুদ্রা দেখা যাবে না।

২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উত্তেজনাকর বাজারে পরিণত হচ্ছে। গবেষকরা আশা করছে ২০৩০ সালে এটি আরো এগিয়ে যাবে।

উপসংহার

নতুন এক বিশ্ব ব্যবস্থার সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা উদ্যোগ গ্রহণ করে এটির সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। যুগের ধারাবাহিকতা অনুসারে এটির ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। কারণ দিন যতই যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে অনলাইন ছাড়া দুনিয়া কল্পনাও করা যাচ্ছে না। তাই এটি যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক অদৃশ্য মুদ্রার ব্যবস্থা। সেহেতু এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *