প্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা, আশা করি ভালো আছেন। সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সারা বিশ্বের খোঁজখবর, নিজের মনের অভিব্যক্তি ছবি ও পোস্ট আকারে শেয়ার করার অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ফেসবুক চেনে না বা ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফেসবুকে ছবি কিংবা লিখিত পোস্ট আপলোড করার সুযোগ থাকে। তাই ফেসবুকার রা নিয়মিত ছবি, লিখনি, ভিডিও এবং উক্তি ইত্যাদি শেয়ার করেন ফেসবুকের বন্ধুদের সাথে। এ সকল পোস্ট বন্ধুরা দেখতে পাওয়ার পর তারা তাদের নিজস্ব রিএকশন বা অনুভূতি জানান দিতে পারে। অর্থাৎ আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে বন্ধুত্বের তালিকায় থাকা বন্ধুরা আপনার প্রধান কৃত পোস্ট তাদের হোমপেজে দেখতে পায়। তখন তারা ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণে থাকা লাইক ,লাভ ,দুঃখের রিএকশন, হাসির রিয়েকশন, কেয়ার রিএকশন ইত্যাদি বাটন এ ক্লিক করে আপনার পোস্টে অনুভূতি জানান দেয়। কিন্তু আপনার যদি বন্ধুর তালিকা ছোট হয় কিংবা যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি থাকে তবে বেশি একটা লাইক পড়ে না। এরকম সমস্যায় ভুগে থাকলে নিজের কাছে হতাশা লাগে কষ্ট করে লিখা পোস্ট কিংবা ছবিতে লাইক কমেন্ট কিংবা রিয়েকশন এর পরিমাণ কম হলে। এই হতাশা থেকে আজকের এই পোষ্ট টি আপনাকে চির মুক্তি দিবে। কারণ একটি বিশেষ পদ্ধতি জেনে নিয়ে প্রয়োগ করলেই আপনার পোস্টে শত শত হাজার হাজার লাইক পড়বে। কিভাবে আপনার ফেসবুক পোস্টে লাইক বাড়ানো যায়, লাইক বাড়ানোর অটো পদ্ধতি কি ,কিভাবে সেটি কাজ করে ,এটি চালু করার উপায় ,বন্ধ করার উপায়, কেন এটি চালু করা প্রয়োজন ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে। সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ফেসবুকে অটো লাইক কি?
ফেসবুকে অটো লাইক সেটিং করতে আগ্রহী ভিজিটরদের বলব আগে জেনে নিন অটো লাইক কি। অনেকেই ভালোভাবে বুঝতে পারেননি অটো লাইক কি, ব্যবহার করবেন কেন, কিভাবে সেটিং করতে হয়, সেটিং করার কারণ, কি উপকারিতা কি ইত্যাদি। আসুন তাহলে আপনাদের অবগতির জন্য সহজেই জেনে নেই অটো লাইক সম্পর্কে। মূলত যারা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন তারা পোস্ট করার কয়েক মিনিট কিংবা ঘণ্টার মধ্যেই আপনার লিস্টে থাকা বন্ধুদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট পেয়ে থাকেন। জনপ্রিয়তা কিংবা ভাইরাল এই যুগে আপনার যদি অল্প কিছু লাইক পড়ে তবে মানসিকভাবে একটু লজ্জা বোধ করেন তাই তো? আপনার যারা জুনিয়র রয়েছে কিংবা ফেসবুক ব্যবহারকারী পরিচিত রয়েছে তাদের প্রচুর লাইক পড়ে কিন্তু আপনার পড়ে না। বিষয়টি নিয়ে আপনি চিন্তিত। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার লিস্টে থাকা বন্ধুদের লাইক কমেন্ট কে তোয়াক্কা না করে একটি বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার পোস্টগুলোতে প্রচুর লাইক জেনারেট করতে পারবেন। অর্থাৎ খুব সহজেই এই সেটিংটি অন করলে আপনার পোস্টগুলোতে হাজার হাজার লাইক আপনার এবং আপনার বন্ধুদের অজান্তেই লাইক সংখ্যা উঠে থাকবে। এভাবে লাইক অর্জন করাকে অটো লাইক বলে। বিভিন্নভাবে প্রচুর লাইক অর্জন করা যায় তবে অটো লাইক সেটিং করার জন্য একটি সফটওয়ার এর ব্যবহার করতে হয়। ওয়েবসাইটের সাহায্যে কিংবা সফটওয়্যার এর সাহায্যে অটো লাইক নিতে পারবেন। আসুন এবারে তাহলে জেনে নেই অটো লাইক কিভাবে সেটিং করবেন।
ফেসবুকে অটো লাইক সেট করবেন যেভাবে | ফেসবুকে অটো লাইক সেটিং সফটওয়্যার
দিন যাচ্ছে ফেসবুকে নিত্য নতুন সুযোগ সুবিধা যোগ করছে কর্তৃপক্ষ। এক যুগ পূর্বে ফেসবুক যে সকল ফিচার দিয়েছিল বর্তমানে তার থেকে আপডেট ফিচার রয়েছে ফেসবুকে। তবে আপনি কি আপনার ফেসবুকে অটো লাইক নিতে চাচ্ছেন? তবে আসন জেনে নেই ফেসবুকে এটি চালু করার সঠিক নিয়মকানুন সম্পর্কে। মূলত একজন ফেসবুক আর কে জনপ্রিয় হিসেবে তখন দেখা হয় যখন তার পোস্টে হাজার হাজার লাইক পড়ে। অতএব সহজেই বুঝতে পারছেন লাইক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক জগতে। ফেসবুকে অটো লাইক প্রদানের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং ওয়েবসাইটে লিংক রয়েছে যার বেশিরভাগ প্রতারণামূলক। তাই নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়া এসবে থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন না। এতে করে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হতে পারে। এবং আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও জিমেইল হ্যাক হতে পারে। তাই লিগেল ভাবে কাজের বিনিময়ে আপনার পোস্টে লাইক বাড়ানোর বৈধ পদ্ধতি শিখে নিন।
অটো লাইক চালু করার বৈধ ওয়েবসাইট লিংক
অনলাইনে যেমনটা মানুষ উপকৃত হচ্ছে ঠিক বিপরীতে প্রতারণা শিকার হচ্ছে। তাই ওটার লাইক যেহেতু একটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে মানুষ নেয়ার জন্য উদগীব হয়ে থাকে। তাদের বলবো আপনার নিরাপত্তার জন্য বৈধ ও নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:- www.like4like.com এটি একটি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট।
উপসংহার
ফেসবুকে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য লাইক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যখন আপনার পোস্টে প্রচুর লাইক দেখা যাবে মানুষ ভাববে এটি একটি গ্রহণযোগ্য পোস্ট। তাই অটো লাইক সংগ্রহের মাধ্যমে আপনি এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে নিতে পারেন। অনেকে অনেক ভাবে থার্ড পার্টি অর্থাৎ তৃতীয় পক্ষের অ্যাপস ব্যবহার করতে বলবেন। কিন্তু আপনি আমাদের পোস্টে দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী আপনার দ্বিতীয় কোন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলে সেখানে লগইন করুন।