চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে যোগ ব্যায়ামে শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পরে তাই এর উপকারিতা ও এই ব্যায়াম সঠিকভাবে করার নিয়ম-কানুন জানতে অনুসন্ধান করেন অনেকে। তাই আজকের নিবন্ধে আমরা জানাবো ব্যায়াম কি?
নিয়ম-কানুন, উপকারিতা, অপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। আপনি যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা পেতে চান তবে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
যোগ ব্যায়াম বা ইয়োগা কি
এটি সাধারণত একটি ভারতীয় সংস্কৃতি। শরীর ও মন সুস্থ রাখার ও দীর্ঘ শ্বাস অর্জন করার কৌশল। দেহের ভিতর লুকিয়ে থাকা অসংখ্য রোগ নিরাময়কারী হিসেবে পরিচিত ব্যায়াম বা ইয়োগা।
এটি ভারতীয় হাজার বছরের পুরনো সংস্কৃতি হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। সহজ ভাবে বলতে গেলে এটি একটি ধ্যান সাধনার ব্যায়াম। একে আবার যোগ আসন বলা হয়। নির্দিষ্ট স্টাইলে বসে দীর্ঘক্ষণ নিঃশ্বাসকে পুঁজি করে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার ব্যায়াম।
যোগ একটি সংস্কৃত শব্দ এর অর্থ একত্র করা। যদিও এটি ভারতীয় সংস্কৃতি তবে সময়ের সাথে সাথে এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতি অর্জন করেছে। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১৪ সালে ১১ই ডিসেম্বর কে যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন এটি আর একটি সাধারন কিংবা একটি বিশেষ সংস্কৃতি হিসেবে আবদ্ধ নয় এটি সারা বিশ্বেই বিস্তার লাভ করেছে।
যোগ ব্যায়ামের নিয়ম কানুন
এই ব্যায়াম মূলত ভোরবেলা করা সবচেয়ে ভালো। অর্থাৎ সূর্য উদয় হওয়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে এই ব্যায়াম শুরু করুন। আপনার কাছে সূর্য ওঠার পূর্বে ব্যায়ামটি করা কষ্টকর মনে হলে সূর্য উদয় হওয়ার সময় অথবা সূর্য ওঠার আধা ঘন্টা এক ঘন্টার মধ্যেই শুরু করুন।
এই ব্যায়ামের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে আসুন তাহলে নিচের লিখিত বিষয়গুলো খেয়াল করুন এবং এই নিয়মে ব্যায়ামটি নিয়মিত করতে থাকুন। যোগ ব্যায়াম কিভাবে করে ? আসুন জেনে নেই।
- যোগ ব্যায়ামের জন্য দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় বেছে নিন। এবং তা যেন একই সময়ে প্রতিদিন করা হয়। এতে উপকারিতা ও ফলাফল ভালো পাবেন।
- মাদুর কিংবা গ্রাম্য ভাষায় পাটি বা কার্পেট বিছিয়ে নিন। সোজাভাবে বসার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
- যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন খোলা মাঠে কিংবা পার্কে ব্যায়ামটি করার জন্য । এটি যদি আপনার জন্য কষ্টসাধ্য হয় তবে বাড়িতেও নির্দিষ্ট একটি জায়গা নির্বাচন করে ব্যায়ামটি করতে পারেন।
মনে রাখবেন এমন একটি জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে প্রাকৃতিক খোলা বাতাস আসা-যাওয়া করে। এর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সময় ভোরবেলা। - আপনি যখন যোগ ব্যায়াম করবেন তখন অবশ্যই মনে রাখবেন পা দুটো মুড়িয়ে বসতে। অর্থাৎ গ্রাম্য ভাষায় যাকে বলে জোড়া শিং আকারে বসতে।
- হাতের শাহাদাত আঙ্গুল অর্থাৎ বুড়ো আঙ্গুলের পাশের আঙ্গুল মুড়িয়ে দুই হাঁটুর উপরে গোল করে বাকি আঙ্গুল গুলো ছড়িয়ে লম্বা নিঃশ্বাস নিন।
- লম্বা নিঃশ্বাস নিজের দেহের ভিতর গ্রহণ করুন এবং দীর্ঘক্ষণ রেখে ছাড়ার চেষ্টা করুন।
- চেষ্টা করবেন যোগ ব্যায়াম করার সময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতে।
- আপনি চাইলে নিজ ধর্মমতে ধর্মগ্রন্থের পাঠ করতে।
- নিয়ম গুলো আপনার কাছে কষ্টসাধ্য মনে হলে একজন পরিচালকের সহযোগিতা নিন।
- যোগ ব্যায়াম করার সময় আজেবাজে চিন্তা থেকে বিরত থাকুন। সম্পূর্ণ চিন্তা মুক্ত মাথায় ইতিবাচক ধ্যান-ধারণায় বসে পড়ুন।
- যোগ ব্যায়াম মূলত দীর্ঘ সময় ধৈর্য ও অধ্যাবসায়ের বিষয়। তাই তাড়াহুড়া করা থেকে বিরত থাকবেন।
- যোগ ব্যায়াম করার এক ঘন্টা পর ভালোভাবে গোসল করে নিন।
- যোগ ব্যায়ামের জায়গাটি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
- মন ও দেহের উপর জোর খাটাবেন না সম্পূর্ণ চিন্তা মুক্ত এবং ধৈর্যের সাথে ব্যায়ামটি কয়েক ঘন্টা সুসম্পন্ন করুন।
যোগ ব্যায়ামের প্রকারভেদ
এটি একটি বহু প্রাচীনতম সংস্কৃতি হওয়ায় এর কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। বিভিন্ন মনিষী ও শাস্ত্রীয় বিজ্ঞান এর কিছু নিয়ম-নীতি জুড়ে দিয়েছে। তাই প্রকারভেদগুলো আপনার জানা প্রয়োজন যদি আপনি যোগ ব্যায়ামের প্রতি আগ্রহী থাকেন। তাই আমরা যোগ ব্যায়ামের প্রকারভেদ গুলো জানিয়ে দিচ্ছি যাতে করে আপনি পছন্দ মতো যে কোন একটি ব্যায়ামের নিয়ম অনুসরণ করে ব্যায়ামটি সুসম্পন্ন করতে পারেন।
১. রাজ যোগা বা রাজকীয় যোগ ব্যায়াম
এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় যোগব্যায়াম। আদিকাল থেকে এই ব্যায়ামটি প্রচলিত রয়েছে। এই ব্যায়াম টি মূলত ধ্যান যোগের বিষয়। দেহের চারটি অঙ্গ সহযোগিতা করে রাজযোগ সুসম্পন্ন করতে। সংস্কৃত সভ্যতায় এর নিয়ম ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হল যম (সপথ), নিয়ম আচরণে নিয়ম-শৃঙ্খলা, আসন, প্রাণায়াম অর্থাৎ নিঃশ্বাসের নিয়ম তান্ত্রিক অধ্যাবসায়, প্রত্যয়হর (ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রণ), ধরনা (গভীর ধ্যান বা ঘনত্ব), ধ্যান ও সমাপ্তি (ব্যায়ামের সমাপ্তি অর্থাৎ দৈহিক ও মানসিক মুক্তি।
২. কর্ম যোগা
এটি শুধু ব্যায়াম নয় এটি ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে নিজেকে ঢালাই করা। তাই কর্ম জোগা ড় অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এই ব্যায়াম থেকে শপথ করা দেশ সমাজ ও ধর্মের জন্য ভালো কাজের সংকল্প করা।
শাস্ত্রীয় বিদগণ বলেন আমরা যাতে করে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারি এই ধ্যান ধারণা করার লক্ষ্যে যে যোগা সাজন করা হয় তাকেই কর্মযোগা বলে।
৩. ভক্তি যোগা
মানুষ হিসেবে মানুষ প্রেম মানুষের সেবা করার মানসিক প্রস্তুতিকেই ভক্তিযোগা বলে। মানুষ সৃষ্টি লগ্ন থেকেই আবেগপ্রবণ এবং ব্যক্তিস্বার্থের উপর বেশি প্রাধান্যবাদী। তাই এই নেতিবাচক চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাধনা করাকে ভক্তিযোগা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
৪. জ্ঞান সাধনা বা জ্ঞানযোগ ব্যায়াম
মানবসেবার লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে যেমন ভক্তি যোগার দরকার ঠিক মনের ভিতরে এই চিন্তা ফিকির তৈরি করতে প্রয়োজন জ্ঞান সাধনার। যোগা ব্যায়ামের তাই গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে জ্ঞান যোগ ব্যায়াম অন্যতম। এই শাখা মানুষের বিবেক বুদ্ধি কে জাগ্রত করে। মানুষকে মানুষ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। যেমন দার্শনিকরা বলেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।
যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা
সাধারণত মানুষের কামুক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে ধর্মীয় ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেঁচে থাকা জরুরী। আর এটি সম্ভব হয়ে ওঠে যখন একজন মানুষ সুস্থ শরীর ও মনের অধিকারী হতে পারে। আর এটা সম্ভব শুধুমাত্র দেহ নাচিয়ে কিংবা সাধারণ কোন ব্যায়াম করার মাধ্যমে নয়। এর জন্য যুগ যুগ থেকে প্রমাণিত যোগ ব্যায়ামের দরকার আগে । আপনি হয়তো লক্ষ্য করলে ইতিমধ্যে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যোগ ব্যায়াম মূলত শারীরিক শক্তি ও আত্মার মুক্তি পেতে একটি ধ্যান সাধনা। তাই এর উপকারিতার শেষ নেই। তবুও আপনাকে একটি সহজ ধারণা দিচ্ছি। অর্থাৎ এই ব্যায়াম থেকে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়।
মানসিক প্রশান্তি
কোটি টাকা দিয়েও মানসিক শান্তি ও স্বস্তি কিনে পাওয়া যায় না। শান্তি মূলত অর্জন করার বিষয়। তাই মানুষ বিভিন্ন উপায়ে শান্তি খুঁজেন। আমি আপনাকে হলফ করে বলতে পারি যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি মানসিক শান্তি পেতে পারেন যদি সঠিক নিয়মে পালন করে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
এই ব্যায়াম নিয়মিত করার কারণে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আপনি যদি আপনার আশেপাশে লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন সকালবেলা অনেক ডায়াবেটিস রোগী বিভিন্নভাবে ব্যায়াম করে। এ সকল রোগী যদি নিয়মিত এই ব্যায়াম করেন তবে সুগার কন্ট্রোলে থাকবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাবেন। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে যোগ ব্যায়াম অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি
আপনি জেনে খুশি হবেন দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি থাকতে আপনি কতই চেষ্টা করেন। কখনো চিন্তা থেকে বের হতে পেরেছেন? নিশ্চয়ই উত্তর আসবে না! কারন আপনি চিন্তা থেকে মুক্তির কৌশল জানেন না। তবে আপনাকে বলছি যোগ ব্যায়াম নিয়মিত করুন নিজেকে রিফ্রেস করতে যোগ ব্যায়াম দারুন ভূমিকা রাখে।
ওজন কমাতে যোগ ব্যায়াম
আপনি যদি অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় চিন্তিত থাকেন তবে যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করায় আপনার মানসিক ফিটনেস আসবে। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি যোগ ব্যায়াম করলে ওজন কমে যায়।
উপরে বর্ণিত উপকারিতার পাশাপাশি আরও অসংখ্য উপকারিতা পাবেন আপনি নিজেই যোগব্যায়াম কে নিজের মধ্যে ধারণ করুন উপকার গ্রহণ করুন।
যোগ ব্যায়ামের ছবি ও নাম
যোগ ব্যায়ামের নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি রয়েছে। আশা করি আপনি মৌলিক ধারণা পেয়ে গেছেন। তবুও সঠিকভাবে বুঝতে আমরা যোগ ব্যায়ামের কিছু ছবি সংযুক্ত করেছি। যোগ ব্যায়ামের নাম ও ছবি দেখে আপনি নিজেই শুরু করে দিন।
যোগ ব্যায়ামের অঙ্গভঙ্গি
যোগ ব্যায়াম ভিডিও
আপনি কি যোগ ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান? তবে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে ইতিমধ্যে ধারণা পেয়ে গেছেন। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ দেখে প্র্যাকটিস করতে পছন্দ করে। তাই যোগ ব্যায়ামের ভিডিও প্রদান করেছি এই আর্টিকেল। আপনি চাইলে গুগল কিংবা ইউটিউবে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন।
যোগ কি | যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা ও অপকারিতা
যোগ মূলত সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ আবদ্ধ করা জড়ো করা। একই কাজের মধ্যে একাধিক বিষয় সংযুক্ত করাকে সংস্কৃত ভাষায় যোগ বলে। এটি একটি ভারতীয় সংস্কৃতি এর মূল বিষয় হলো শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি অর্জন করতে কিছু ভঙ্গিতে একাধিক বিষয় সংযুক্ত করে ব্যায়াম করা।
যোগ ব্যায়ামের ফলে আপনি অসংখ্য উপকারিতা লাভ করবেন। তবে নিয়ম না জেনে এই ব্যায়ামটি চেষ্টা করলে কিছু ক্ষতিকর দিক অর্জন করে ফেলতে পারেন। যেমন বর্তমানে চলছে শীতকাল। এ সময় আপনি অতিরিক্ত ভোরে এই সাধনাটি করলে সর্দি-কাশির মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য আপনাকে মিষ্টি রোদে সাধনাটি করার অনুরোধ থাকবে।
যোগ বা Yoga যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা
যৌবন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কত কিছুই না করা হয়। আপনি জানেন কি আশিভাগ যৌন রোগী মানসিক দুশ্চিন্তার ফল। তাই যোগ বা ইয়োগা ব্যায়াম যৌন রোগ দমন করতে সহযোগিতা করে। আপনি যদি এই ব্যায়ামটি নিয়ম জেনে নিয়মিত পালন করেন সাধনা করেন তবে যৌন শক্তি বৃদ্ধি হবে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি। যৌন শক্তি বৃদ্ধির উপায় অনুসন্ধান করে থাকলে তবে আপনি এই যোগ ব্যায়ামে মনোযোগ দিন। যোগ আসন পিডিএফ ও যোগাসন pdf file পেতে ক্লিক করুন।
যোগাসনের ফল
নিয়মিত যোগাসন করলে হৃদরোগ, হাঁটুর ব্যথা, পায়ের ব্যথা ,কোমরে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, স্ত্রী রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ নিরাময় হয়। আপনার মুখমন্ডল ও শরীরকে তারুণ্যের ছাপ ফেলতে যোগাসনের ব্যাপক প্রয়োজন। কোন সময়ে যোগ ব্যায়াম করলে বেশি উপকার পাবেন এর উত্তর হল সকাল বেলা। তবে আপনি যোগাসন আপনার ইচ্ছেমতো যে কোন নির্দিষ্ট সময় পড়তে পারেন তবে প্রতিদিন একই সময়ে হওয়াটা জরুরি।
Reference: banglatechinfo
উপসংহার
যোগ ব্যায়াম কি, উপকারিতা ও অপকারিতা সহ যোগ বা ইয়োগা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে চেষ্টা করেছি। আশা করছি পরিচ্ছন্ন ধারণা পেয়েছেন। পোস্টটি আপনার জীবনঘনিষ্ঠ তাই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।