Sumsung Phones Country

স্যামসাং মোবাইল কোন দেশের কোম্পানি এবং কে এর মালিক?

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। অসংখ্য মানুষ google এ অনুসন্ধান করেন জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি কোন দেশের কোম্পানি এবং এর মালিক কে? দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এটি। এই সংস্থার বিভিন্ন খাতে ব্যবসা আছে তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো samsung কোম্পানির ইলেকট্রনিক্স বিভাগ। দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জিডিপিতে 17% samsung কোম্পানি অবদান রাখে। samsung মোবাইল ডিভিশন স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স এর ৫ টি বিভাগের মধ্যে একটি স্যামসাং গ্রুপের অন্তর্গত। জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে অনেকেই বিস্তারিত জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনলাইনে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই কোম্পানিটি কোন দেশের এবং কে প্রতিষ্ঠা করেছেন তা জানতে । আজকে আমরা জানাবো samsung কোম্পানির সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য এবং এটি কোন দেশে অবস্থিত এবং কে প্রতিষ্ঠিত করেন। আসুন তাহলে জেনে নেই স্যামসাং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

স্যামসাং কোন দেশের কোম্পানি

 

samsung মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। apple মাইক্রোসফট এবং স্যামসাং সহ এরকম অন্যান্য অনেক কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই কোম্পানিটি বিভিন্ন বিভাগ নিয়ে কাজ করে। টেলিকম পণ্যের মধ্যে রয়েছে মোবাইল মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ডিভাইস যেমন mp3 প্লেয়ার ল্যাপটপ ও টেলিযোগাযোগ ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করে এই কোম্পানি। স্যামসাংয়ের সদর দপ্তরটি Suon, South Korea কোরিয়ায় অবস্থিত।

এই কোম্পানি ফ্রিজ এসি মাইক্রোওয়েভ এর মত আরও অনেক ছোট বড় ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে। দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল একটি দেশ। তাই নিজ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে ব্যবসার বিকল্প নেই। তাই এই বৃহত্তর প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় সারা বিশ্ববাজারে নিজেদের তৈরি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করার মাধ্যমে বিশ্ববাজার সরব রেখেছে।

Sumsung products Sumsung products

মোবাইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে খুচরো ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি ও বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি। দক্ষিণ কোরিয়া সহ দেশের বাইরে লাভজনকভাবে ব্যবসা করে সফল হয় প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমান সময়ে অন্যান্য ব্যবসায় িক কোম্পানির থেকে ইলেকট্রনিক এবং টেকনোলজি নির্ভর করে যে সকল প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে তারা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানটিও পিছিয়ে নেই সকল ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতা করে প্রতিনিয়ত উন্নতি করে যাচ্ছে।

Sumsung কোম্পানির মালিক (SEO)কে

 

একটি কোম্পানির সফলতার গল্প শুনতে চাইলে প্রথমে ই উঠে আসে কোম্পানিটির মালিকের নাম। অর্থাৎ কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধান ভূমিকা যার সেই ব্যক্তি কে তা নিয়ে ইতিহাস পর্যন্ত রচিত হয়। এটি যেহেতু একটি স্বনামধন্য ও বৃহত্তর দক্ষিণ কো mmরিয়ান কোম্পানি সেহেতু এর মালিক কে জানাটা একটি কৌতূহল ব্যাপার।

samsung কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত করেন Lee Byung Chul নামের মহান ব্যক্তি। কোরিয়ার ভাষায় স্যামসাং শব্দের অর্থ হলো তিনটি তারকা। বর্তমানে ভারতে এই কোম্পানির সিইও হল বিডি পার্ক B. D PARK। এই কোম্পানির ভারতে সদর দপ্তর হল হরিয়ানার গুরুগ্রামে।

samsung কোন দেশের কোম্পানি

দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি এটি। লিবিয়াং চুল Lee Byung Chul এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কোরিয়ান কোম্পানি। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। তার স্বপ্ন ও নিজস্ব মননে কোম্পানিটিকে সাজিয়ে তোলেন। তিনি প্রচুর মেধাবী মানুষ ছিলেন। তার জীবনে সর্বোচ্চ পরিশ্রমের মাধ্যমে স্যামসাং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করে দক্ষিণ কোরিয়ায়।

স্যামসাং কোম্পানির ইতিহাস

এটি সাউথ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কোম্পানি। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আজ পর্যন্ত সুনামের সাথে দক্ষিণ কোরিয়া সহ সারা বিশ্বে ব্যবসা করছে। প্রথমত একটি সাধারন কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও সময়ের ব্যবধানে আজ বিশাল গ্রুপ অফ কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।

Sumsung Phone photoSumsung Phone photo

এই কোম্পানির সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট ছিল সাদা কালো টেলিভিশন। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই কোম্পানির সার্ভিস পাওয়া যায় তবে কয়েকটি বড় বড় শহরে তারা তাদের রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেন্টার খুলেছে। এই কোম্পানিটি মোট ৮০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। ছয়টি দেশে তাদের মেনুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি রয়েছে।

samsung এর ফ্যাক্টরি কোন কোন দেশে

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হলেও এই কোম্পানিটি বিভিন্ন বহির্বিশ্বের দেশগুলোর সাথে ব্যবসা করছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দেশে তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি বসিয়েছে। এই কোম্পানির শাখা রয়েছে সারা বিশ্বের প্রায় দেশেই। আসুন তাহলে জেনে নেই এর ফ্যাক্টরি কোন কোন দেশে রয়েছে।

  • দেশগুলো হলো:
  • ভিয়েতনাম
    চায়না
    ইন্ডিয়া
    ব্রাজিল
    ইন্দোনেশিয়া আর নিজ দেশ দক্ষিণ কোরিয়া তো অবশ্যই। এই কোম্পানির পণ্যগুলো অর্ধেক তৈরি হয় ভিয়েতনামে অর্থাৎ ৫০%, ৮% তৈরি হয়, কোরিয়াতে আর বাকি বাকি ৪২% ইন্ডিয়া ব্রাজিল ইন্দোনেশিয়া এবং চায়নাতে তৈরি হয়।

সামসাং কোম্পানির অতীত ও বর্তমান ইতিহাস

এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত করেন লিবিয়াং চুল 1910 সালে দক্ষিণ কোরিয়াতে। আর তিনি নিজেও দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিক। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইউরিন এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।

Sumsung products itemSumsung products item

১৯৩৮ সালে তার কর্মজীবন শুরু হয় ডেইগ নামক একটি শহরে এসে। এই শহরে তিনি 40 জন কর্মী বাহিনী নিয়ে একটি নুডুলস তৈরির কারখানা ও কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ সালে স্যামসাং মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। এভাবেই ধীরে ধীরে শহর থেকে নগরে দেশ থেকে বিদেশে স্যামসাং কোম্পানির আত্মপ্রকাশ ও প্রসার ঘটতে থাকে। ২০১৪ সালে তাদের মোট আয় ছিল ৩০ হাজার ৫০০ ডলার।

আরো পড়ুন ঃ ফেসবুকে অটো লাইক সেট করবেন যেভাবে? ফেসবুকে অটো লাইক পাওয়ার উপায়?

অনলাইনে পড়াশোনা করব কিভাবে?

Reference: Bangla Tech Info

উপসংহার

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সারা বিশ্বে যখন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার শুরু হয়। ঠিক তখনই ব্লু young তার samsung কোম্পানির মাধ্যমে অর্থনৈতিক যুদ্ধের শুরু করেন। যতটা সহজ ভাবছেন বিষয়টা তখনকার সময়ে ততটা সহজ ছিল না। তবুও দক্ষিণ কোরিয়াকে নতুনভাবে সাজাতে এবং ব্যবসার প্রসার ঘটাতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে samsung কোম্পানির প্রতিষ্ঠা হয়।

বর্তমান সময়ও সারা বিশ্বের বুকে স্যামসাং কোম্পানি প্রতিদ্বন্দিতার সাথে সুনাম কুড়িয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি স্যামসাং কোম্পানির ইতিহাস ঐতিহ্য দেশ ও প্রতিষ্ঠাকারী ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। ভালো লাগলে অবশ্যই পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *