প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম।
আশা করি সকলেই ভাল আছেন। পৃথিবীতে কোনো মানুষ-ই একা বাঁচাতে পারে না। একজন পুরুষ একজন নারীকে এবং একজন নারী একজন পুরুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়ে তবেই জীবন যাপন করে। তাই মানুষ হিসেবে প্রত্যেকটি মানুষের উচিত সৎ গুণের অধিকারী হওয়া। কেননা জীবনসঙ্গী যদি সৎ এবং ভালো গুণের অধিকারী না হয় তাহলে সংসার জীবন কখনোই সুখের হয় না। তাই আজকে আমরা জানাবো যে চারটি গুণ স্ত্রীর মধ্যে থাকলে স্বামী সৌভাগ্যবান। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক চারটি গুণ স্ত্রীর মধ্যে থাকলে আপনি কিভাবে সৌভাগ্যবান।
স্ত্রীর যে চারটি গুণ থাকলে স্বামী সৌভাগ্যবান
সংসার সুখী হয় রমনীর গুনে এই প্রবাদ বাক্যের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত এবং একমত।আর এর জন্যই স্ত্রীকে বলা হয় অর্ধাঙ্গিনী অর্থাৎ এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, দেহের পরিপূর্ণ অর্থে ব্যবহৃত। বিয়ে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই আসে এবং ইসলামী ধর্মমতে এটি একটি ফরজ কাজ। ধর্মের রিতিনীতি এবং সমাজস্বীক্রিতীর ভিত্তিতে নারী পুরুষ একত্রিত হওয়াকেই বলে বিয়ে।
স্বামী স্ত্রী এবং অন্যান্য পরিজনদের নিয়েই একটি সংসার পরিপূর্ণ। স্বামী ও স্ত্রী দুজনের চেষ্টাতেই একটি সংসারে পরিপূর্ণতা আসে।আর এই সংসার জীবন তখনই সুখ ও শান্তিপূর্ণ হবে যখন দুজনের ভূমিকাই ভালো থাকবে।
চলুন জেনে নেয়া যাক চারটি গুণের কথা:
১. দায়িত্বশীলতা
বিয়ের পর একটা মেয়ে তার স্বামীর পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। একসময় সে নতুন এক পরিবারে আসে। স্বাভাবিকভাবে স্বামীর পরিবারের সবাইকে আপন করে নেয়া স্ত্রীর অন্যতম দায়িত্ব। আর সেই কাজটি যদি যথাযথভাবে স্ত্রী পালন করে তবে স্বামী হিসেবে আপনি সৌভাগ্যবান।
যে স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন এবং তার নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করেন তার স্বামী খুবই সৌভাগ্যবান। বর্তমান সময়ে স্বামী-স্ত্রীর এই দূরত্বের কারণেই সংসারে অশান্তি হয়ে থাকে। তাই বিয়ের পূর্বে একজন স্বামীর উচিত আপনার আগামীতে হতে যাওয়ার স্ত্রী দায়িত্বশীল এবং মানানসই হবে কিনা। যে স্ত্রী স্বামীর কথা গুরুত্ব সহকারে শুনে মানে সেই স্বামীকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করা উচিত।
২. কর্মঠ
ঘরের কাজ করতে কোন লজ্জা নেই সে নারী হোক কিংবা পুরুষ। স্ত্রী তো ঘরের কাজ করেই থাকেন দুজন মিলে সংসারে যতই কাজ করো না কেন মেয়েরা যেমন নিখুঁতভাবে সংসার গুছিয়ে রাখতে পারেন ছেলেরা ততটা পারেন না। তাই যে সংসারের স্ত্রী গৃহকর্মে খুব নিপুন হয় সে সংসারে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি বিরাজ করে। সেই স্ত্রীর সমাজ ও সংসারে বিশেষ মান সম্মান লাভ করেন সাথে সাথে তার স্বামীর জীবনও সুখী হয়ে ওঠে।
স্বামী এই প্রশংসার জোয়ারে ভাসতে থাকেন আনন্দিত হন। স্বামী হিসেবে আপনি যদি তাকে সাহায্য করেন সময় দেন তবে স্ত্রীর চোখে আপনি ভালো। ইসলাম বলে একজন স্বামী তখন পরিপূর্ণ ভালো যখন সে তার স্ত্রীর নিকট ভালো। আপনি যখন স্ত্রীকে মূল্যায়ন করবেন তখন দেখবেন স্ত্রীর চোখে আপনার সম্মান আরো বেড়ে যাবে।
৩. হাস্যজ্জল ব্যবহার
কথায় আছে মুখের কথা দিয়ে বিশ্বজয় করা যায় তবে তা ইতিবাচক হতে হবে। যে স্ত্রী সবার সাথে খুব ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেন না সবার সাথে মিষ্টি ভাবে কথা বলতে পারেন তারাই পরিবারের অল্প সময়ের আপনজন হয়ে যায়। মিষ্টি ও হাস্যজ্জল ভাবে কথা বলা এটা মেয়েদের একটি সৌন্দর্য এবং বিশেষ গুণ। এমন স্ত্রীর স্বামী খুবই সৌভাগ্যবান হয়ে থাকে।
৪. লজ্জাশীল
চারটি গুণের মধ্যে এই গুণটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুগের ধারাবাহিকতায় মানুষের মধ্যে থেকে লজ্জাশীলতা উঠে যাচ্ছে। যার ফলে একজন নারী যদি লজ্জাশীল না হয় তবে তার পর- পুরুষের সাথে ধীরে ধীরে সখ্যতা তৈরি হয় এবং পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়।
তাই একজন নারী সুন্দর মার্জিত ব্যবহার করার মানে এই নয় কারো সাথে মাখামাখি সম্পর্কে লিপ্ত হবে। যে স্ত্রী শুধুমাত্র স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য হাস্যজ্জল এবং গোছালো ও সাজুগুজু করে থাকে সে ইসলামের আইন অনুসারে একজন যোগ্য এবং সর্বগুণে গুণান্বিত নারী। যার স্ত্রী যত লজ্জাশীল সে ততটাই সৌভাগ্যবান।
সারকথা
পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। একে অপরের পথচলায় নিঃস্বার্থের সঙ্গী স্বামী স্ত্রী। তাই স্ত্রী হিসেবে স্বামীর জন্য সৌভাগ্যের যে চারটি দিক রয়েছে তা আমরা উল্লেখ করেছি। এটি সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব গবেষণার লিখনী। উপরের চারটি গুণ ব্যতিরেকেউ আরো অসংখ্য গুন থাকতে পারে একজন ভালো মানের স্ত্রীর। আমরা চেষ্টা করেছি মৌলিক গুণগুলিকে প্রকাশ করার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।